একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে রোববার রাত ১২.১ মিনিট থেকেই বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয় নানা শৃংখলার মাধ্যমে।

তবে সন্ধ্যা নামে আসলেই শহীদ মিনারের কদর যেন কমে যাচ্ছে দিন দিন সারাদিন যেখানে হাজারো আইনশৃঙ্খলাসহ স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন নিয়ম চালু করা হচ্ছে অথচ সন্ধ্যা নামলেই শহীদ মিনারে আর দেখা মিলছে না কারো।

আজ সোমবার রাতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলামের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ।

তিনি নিজের হাতে ঝাড়ু নিয়ে পরিষ্কার করছেন শহীদ মিনার তিনার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি বিশ্বাসেই চেতনায় সবার মাঝে জাগ্রত করার জন্য আহব্বান করছি এবং সকলকে এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা রাখার আহবান করছি আমরা যেমন আমাদের নিজেদের ঘর পরিষ্কার রাখি ঠিক তেমনি পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করব আমাদের এই শহীদ মিনার।

 

ভাষা আন্দোলন দমন করতে ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেন। সেই মিছিলে গুলি চলে। গুলিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি’ তাই তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন যাতে আমরা জুতা খুলে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠি।

১৯৫২ সালে রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনে শহীদের স্মরন করে আজকে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ এর এই শহীদের মিনার পরিষ্কার কার্যকর্ম উদ্যোগ, আমরা চাই দেশ ও জাতির সাথে অতিতের মত এভাবেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঠাকুরগাও জেলা শাখা কাজ করে যাবে।